বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ইসলামের উন্নতিকল্পে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে

ইসলামের উন্নতিকল্পে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে ইসলামের উন্নতিকল্পে সরকার বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে আয়োজিত তাবলিগ জামায়াতের ইজতেমা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। বিগত বছরের ন্যায় এবারও দুই ধাপে ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং ২০-২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ইসলামের উন্নয়ন, প্রচার, প্রসার এবং খেদমতে বহু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন এবং টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। তিনি কম খরচে হজ পালনের জন্য হিজবুল বাহার জাহাজ ক্রয় করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণ করেন। জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। তাঁর কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে বাংলাদেশে ইসলামের উন্নতিকল্পে বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সকল জেলা এবং উপজেলায় মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুরআনের শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লাখ লাখ শিশুকে কুরআন শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ইজতেমা বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র, যা ইসলামী সমাজ, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মহানুভবতার এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত। আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে- এ আমার প্রত্যাশা।’

এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। আমি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech